প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা: নিয়মিত শসা খেলে কী কী লাভ হয়
প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা: নিয়মিত শসা খেলে কী কী লাভ হয়
শসা একটি শ্রেষ্ঠ ফল যা আপনার ত্বকে সুস্থ রাখতে ত্বকের চেহারা উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে বিভিন্নভাবে শসা গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন শসা সালাত করে খেতে পারেন স্যান্ডউইচ দেখেতে পারেন হালকা শুকনা খাবার সময় খেতে পারেন যাইহোক শসার বহু গুণ উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি এবং উল্লেখযোগ্য অনেক মানুষের ডায়েটের মধ্যে শসা রাখেন কারণ এর উপকারিতা অতুলনীয়। এবং ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও আপনি গ্রহণ করতে পারেন নিচে শসা নিয়মিত খাওয়ার কিছু উপকারিতা উল্লেখ্য করা হলো।
হাইড্রোশন এর সেরা উপায়
শশাকে বলা হয় হাইড্রশন এর রাজা এখানে প্রায় ৯৫% পানি আছে তাছাড়াও শসার তৈরি হয়েছে উন্নত মানের হাইড্রেশনে দ্বারা যা উচ্চ লেভেল থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজন। শশা তাপমাত্রা বজায় রাখতে হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। কিছু মানুষের রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না যার ফলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে এ চোখের নিচের কালো দাগা দূর করতে আপনি নিয়মিত শসা চোখে ব্যবহার করতে পারেন।
নিউট্রিশন এর উচ্চশক্তি
শসা তে রয়েছে উন্নত মানের প্রাকৃতিক পানি যা মানব দেহের জন্য ৯৫ শতাংশ জরুরি হয়ে থাকে এবং এই একমাত্র শসাতে রয়েছে উন্নত মানের পানীয় যা মানুষের অভ্যন্তরীণ এবং উপকার করে থাকে। শসাতে কোন ফ্যাটি বা ফ্যাট নেই যার ফলে আপনার শরীরে মেদ বাড়ানো কোন সম্ভাবনা নেই অপরদিকে শসা আপনার শরীরের মেদ চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে অনেক বেশি কাজে লাগে নিয়মিত শসা গ্রহণে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করে।
কবুতরের মাংস খেলে কি হয়: স্বাস্থ্য উপকারিতা ও সতর্কতা.
ডায়েটের মধ্যে শসা ব্যবহার
যারা ডায়েট করেন ওজন কমাতে চান অথবা ত্বক স্লিম ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তারা তারা নিয়মিত শসার ব্যবহার করতে পারেন। শসা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত চর্বি কমে আপনার পক্ষে করে তুলবে স্লিম সুন্দর আকর্ষণীয় গড়ন এবং ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতেও শসা উন্নত ভূমিকা পালন করে। তবে ডায়েট করার সময় সংসার পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখার চেষ্টা করবেন যদিও শসাতে উপাদান পরিমাণ ৯৫ শতাংশ পানি এক্ষেত্রে আপনি একটু বেশি গ্রহণ করে ফেললেও আপনার তেমন কোন ক্ষতি হবে না।
হজম শক্তি বৃদ্ধি
যাদের হজম শক্তি দুর্বল খাবার হজম হতে সমস্যা হয় তারা নিয়মিত শসা গ্রহণ করতে পারেন। এতে যেমন আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে তেমনি শসা খুব দ্রুত পচনশীল বা হজম করা যায়। যার ফলে আপনি ডায়েট সিস্টেমের মধ্যে যেমন ব্যবহার করতে পারেন তেমনি এটা নিয়মিত ব্যবহারে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে যে কোন খাবার হজম করতে সাহায্য করে। শসা গ্রহণের ফলে শরীরের পানি তারতম বজায় রাখে রিহাইড্রেশন দূর করে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
যারা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান, চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়াত, চান তারা নিয়মিত শসা ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ত্বকের রং ইত্যাদি বৃদ্ধি করবে। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যার ফলে ত্বকের ভেতরে লুকিয়ে থাকা ডার্কশেল বা মৃত সেলগুলো সহজেই বেরিয়ে আসে এবং আপনার ত্বক হয়ে ওঠে লাবণ্য ফর্সা ও দেখার মত সৌন্দর্য। নিয়মিত শসা ব্যবহারে ব্রণের দাগ মেস্তা চোখের নিচের কালো দাগ ইত্যাদি খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
হৃদপিণ্ড ও শ্বাসতন্ত্রের যত্ন
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, মিনারেল যা হি জীব যন্ত্র এবং শ্বাসতন্ত্রের সার্কেল গুলো থেকে আপনারা যন্ত্র বাহির পিণ্ডকে সুরক্ষিত দিতে সাহায্য করে শসাতে দেহে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখে। যার ফলে লক্ষ্যণীয় ভাবে হার্টের উন্নতি শ্বাসতন্ত্রে উন্নতি সাধন করে থেকে শসা যাদের হার্ট ডিজিজ অথবা হি যন্ত্রের সমস্যা বা ঝুঁকি রয়েছে তারা নিয়মিত শসা গ্রহণ করতে পারেন এতে আপনার স্বাস্থন্ত্রের সমস্যা সমাধান খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার অসাধারণ উপকারিতা.
ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে শসার ভূমিকা
শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লাবোনডাইস, লিগনাস এবং টিটারপেনস এ সমস্ত উপাদান গুলো আপনার নিউট্রেশন এবং ক্ষতিকর দিক থেকে স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখে। যেমন ত্বকের জ্বালাপোড়া করা অতিরিক্ত গরম এছাড়াও আপনার ত্বককে ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের হাত থেকে প্রচুর পরিমাণে শুরুক্ষা দিয়ে থাকে। তাছাড়া শসার উপাদান আপনার রক্তের সংযোগ বা ব্লাড সার্কুলেশন সহজ করে তোলে এর ফলে আপনি সহজেই সুস্থতা বোধ করেন।
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা
শসা তে কম মাত্রায় গ্লিসেনিক থাকে যা প্রচুর পরিমাণ ফায়বার সমৃদ্ধ এবং এটি নিয়মিতভাবে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে যার ফলে আপনার রক্তনালী গুলো ব্লক হওয়া থেকে সুরক্ষা থাকে রথে সঠিক পরিমাণের সুগারে মাত্র থাকে আপনি থাকেন সুস্থ সজীব প্রাণবন্ত।
ইউনিয়নের সিস্টেম বুস্টার
এক কথায় সমস্ত ফলের মধ্যে শসা একমাত্র ফল যাতে প্রচুর পরিমাণ সিস্টেমকে উন্নত রাখার বুস্ট করার ক্ষমতা রয়েছে মিনারেলস ভাইটামিন এন্ড অক্সিডেন্টস যা আপনার শরীরকে সুরক্ষিত রাখার যে কোন রোগ থেকে। এবং সচেতন রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফাংশানে উন্নত করতে সাহায্য করে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে শশা স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য উন্নত ভূমিকা পালন করে আমাদের প্রত্যেকের উচিত সুস্থ জীবন যাপনের জন্য নিয়মিত শসা গ্রহণ করা।