বেশি গরমে কিভাবে সুস্থ থাকবেন: শরীর ঠাণ্ডা রাখার সেরা উপায়

বেশি গরমে কিভাবে সুস্থ থাকবেন: শরীর ঠাণ্ডা রাখার সেরা উপায়

বর্তমান সময়ে রোদের প্রখর তাপমাত্রা এবং আলোক উজ্জ্বল সূর্যের আলো থেকে নিজের ত্বক কিভাবে বাঁচাবেন তা নিয়ে সবারই তোড়জোড়। সুস্থ থাকার জন্য এবং আপনার ত্বককে ইউ ভি রেডিয়েশন থেকে ভালো রাখার জন্য নিচে কিছু সুন্দর আলোচনা করা হলো যেগুলো ফলো করলে আপনি আপনার ত্বকের সুস্থতা খেয়াল রাখতে পারবেন।

হাইড্রেট থাকতে হবে

সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গ্রীষ্মকালে বায়ে গরমের শ্রীচীনে আপনাকে হাইব্রিড থাকতে হবে।  এটা খুবই সহজ এবং কমন বিষয়ে যে অতিরিক্ত রোদের তাপে আপনার ডিহাইডেট হতে পারে তাই বেশি বেশি পানি পান করেন, পাশাপাশি আপনি গ্লুকোজ অথবা স্যালাইন এবং ফল হিসেবে শসা, তরমুজ, কমলালেবু ইত্যাদি আপনার খাবারের মধ্যে রাখতে পারেন।

ত্বককে সুরক্ষিত রাখা

সরাসরি সূর্যের আলো থেকে এবং রোধের তাপমাত্রা থেকে আপনার ত্বককে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।  এক্ষেত্রে আপনি ঘরের বাইরে থাকতে পারেন যে সময় প্রখরোধ থাকে সেই সময়গুলো আপনি আপনার সামর্থ্যের মতো থাকলে এসি বা এয়ারকন্ডিশন ব্যবহার করতে পারেন রুমের বাইরে থেকে যেন সরাসরি ভিতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে দরজা জানালায় আপনি পর্দা দিয়ে রাখতে পারেন।  চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পরিবেশে থাকার এবং ফ্যানের ব্যবহার করার অথবা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকার, যেখানে গাছের ঘন ছায়া হালকা শীতল বাতাসে রয়েছে এ সমস্ত পরিবেশে চাইলে থাকা যায়। 

প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা: নিয়মিত শসা খেলে কী কী লাভ হয়

তাপমাত্রা কে এড়িয়ে চলুন

চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকে দিনের ঠিক এই সময়গুলোতে নিজেকে সুরক্ষিত অবস্থায় তাপমাত্রা থেকে দূরে রাখার এতে করে আপনার শরীরে সরাসরি যেমন তাপের প্রভাব পড়বে না তেমনি ভাবে আপনার ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না এছাড়াও আপনি ঘন ঘন পানি পান করতে পারেন।  পানি পান করার পাশাপাশি আপনি নিয়মিত ডেইরি, ফল টমেট, শসা, সবুজ শাকসবজি, ডাউল নিউট্রেশনযুক্ত খাবার এবং রঙ্গিন শাকসবজি বা ফলমূলক গ্রহণ করতে পারেন চেষ্টা করবেন গ্রীষ্মকালীন সময়ে অতিরিক্ত ঝাল না খাওয়া অতিরিক্ত তেল মসলা না খাওয়ার।

এক্সারসাইজ করতে পারেন

আপনি যত বেশি কর্মঠ এবং উজ্জীবিত প্রাণবন্ত অবস্থায় থাকবেন তত বেশি কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন এর ফলে আপনার তাপমাত্রার কারণে যে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটা অনেকটাই কমে আসে। ঘন ঘন বিরতি দিয়েও শরীর চর্চা করতে পারেন নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করলে হালকা সাঁতার সকালে উঠে একটু হাটাহাটি ইত্যাদি কারেন্ট কিন্তু আপনি এ গরমের মধ্যেও সুস্থ থাকতে পারেন। গ্রীষ্মকালীন সময়ে সাধারণত বাংলাদেশে আম এবং অন্যান্য ফলমূল সহজলভ্য হয় এক্ষেত্রে আপনি হালকা টক ফল খেতে পারেন যেমন আম, কামরাঙ্গা, আমড়া, বাঙ্গি, সিজনাল ফল খেলে আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় যেমন বৃদ্ধি করতে পারবেন তেমনি সুস্থ থাকবেন।

প্রয়োজনীয় সামগ্রি সঙ্গে রাখা

একান্ত যদি আপনার সরাসরি দিনে প্রখর সূর্যর আলো থাকা অবস্থায় বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে সঙ্গে ছাতা পানির বোতল হালকা ফল সাথে রাখতে পারেন।  এতে রোদের অবস্থায় আপনার ত্বকে যেমন সুরক্ষিত তা থাকবে তেমনি ভাবে আপনিও আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন প্রখর গরম থেকে। তাছাড়া পথ পারাপার হবার সময় আপনি গাছের ছায়া আছে এ সমস্ত পথগুলো বেছে নিতে পারেন যে অঞ্চলে গাছের ছায়া কম সে অঞ্চলে গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি।

সূর্যের আলো থেকে বাঁচার অনুশীলন

আপনি সানস্ক্রিন বা সূর্য থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় পোশাক পড়তে পারেন পাশাপাশি আপনার সূর্যের গতি বেশি থাকে এই সময়গুলোতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যেমন সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটার মধ্যে রোদের তাপমাত্রা প্রখর হয়ে থাকে এ সময় আপনি হালকা পাতলা প্যান্ট না পরে মোটা প্যান্ট ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার সরাসরি সূর্য্যর আলো থেকে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে।

শিশুদের প্রসাব হলুদ হয় কেনো: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

সুস্থ থাকার জন্য অতিরিক্ত খেয়াল রাখা

পত্রিকা তাপমাত্রার কারণে যে সমস্ত অসুখ হয়ে থাকে সেগুলোর কোন লক্ষণ আপনার মধ্যে আছে কিনা সে দিকে অবশ্য খেয়াল রাখবেন যেমন বমি ভাব মাথা ঘোরা ঝিমুনি মাথায় খিচুনি ইত্যাদি।  যদি এ সমস্ত লক্ষণ আপনার মধ্যে থাকে তাহলে অতিসত্বর আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন এবং হিট বা তাপমাত্রা বেশি এ সমস্ত এলাকা থেকে দূরে থাকতে পারেন।  গ্রীষ্মকালীন সময়ে তাপমাত্রা বেশি পড়বে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেখান থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে যথেষ্ট পন্থা অবলম্বন করতে হবে যেগুলো আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখবে আপনাকে সুস্থ রাখবে।

পানির সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক

গ্রীষ্মকালীন গরম থেকে বাঁচার জন্য আপনি পানির সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন যেমন নিয়মিত সাঁতার কাটা ঘন ঘন পানি পান করা ছাড়া জায়গায় অবস্থান করা বাড়ির আশপাশে ফলমূলের গাছ রোপন করা ঘন ছায়া থাকে এরকম জায়গায় অবস্থান করা সাঁতার কাটতে পারেন পাশাপাশি সমুদ্র সৈকত নদীবন্দর এলাকায় ঘুরে আসতে পারেন।

পুর্বের পোস্ট পরবর্তী পোস্ট